ছোটবেলা থেকে আপনার স্বপ্ন কি ছিল? সাফল্যের পিছনে মূল মন্ত্র কি?
জয়িতা ব্যানার্জি : সত্যি বলতে গেলে সবাই হাসবে। কিন্তু আমি ছোটবেলা থেকে একজন আরজে হতে চেয়েছিলাম, এবং পেশায় একজন সাংবাদিক। কেন জানি আমার সাংবাদিকতা এর প্রতি অনেক ঝোক ছিল। কিন্তু যখন আমি বড় হতে থাকি তখন আমার স্বপ্ন ছিল না কোন। আমি ভাবতাম কিভাবে একটা দিন কাটাবো। আমাদের মতো যারা মাধ্যমিক দেয়, তাদের অনেকের স্বপ্ন থাকে যে তারা ডাক্তার হবে ইঞ্জিনিয়ার হবে। কিন্তু আমার মনে হয় আমরা কখনও স্বপ্ন দেখি না। আমরা আরেকজনের স্বপ্নকে নিজের স্বপ্ন বানাই এবং আমরা আরেকজনের মতো হয়ে যাই। আমি কখনো কারো মতো হতে চাই না। আমি আমার মতো হতে চাই। আর এখন আমার মনে হয় আমার কোন স্বপ্ন নেই যা আছে তা হলো আমার দায়িত্ব। আমার সাফল্যের কোন মূলমন্ত্র নেই আসলে। কারন কারো থাকে নাহ। কিন্তু সাফল্য বলতে আসলে আমরা কি বুঝি? যদি আমরা ভালো জায়গায় থাকি জীবনে তাকে সাফল্য বলি তাহলে আমাদের গ্রথ কমে যায়। আমি যতদূর এসেছি, এখন যতোটা ভালো আছি তার পিছনের কারনটা বলা যায়। সেটা হলো অপ্রান চেষ্টা, ধৈর্য রেখে জীবনে সফল না হলেও চেষ্টা করে যাওয়া। আমার মনে হয় আমি কোন ফলাফল না চেয়েই চেষ্টা করে যাওয়া। আর আমি খুব অর্গানাইজড। আমার কোন কিছু শেখার আগে রোডম্যাপ বানিয়ে, চেকলিস্ট করে কাজ করতে ভালো লাগে।

অন্যদের তুলনায় আপনি ব্যতিক্রম কোন ক্ষেত্রে?
জয়িতা ব্যানার্জি : প্রশ্নটি শুনে আমি একটু ভাবনায় পরে গেলাম। যাই হোক আমার মনে হয় না আমি কারো তুলনায় ব্যাতিক্রম। কিন্তু আমি বলতে পারি আমি একটু পরিশ্রম বেশি করেছি হয়ত। কারন আমার কাছে জীবন একটা ১২ তালা বাড়ির মতো যেখানে আপনাকে আট তালা পর্যন্ত উঠতে হবে। আর এইটা সহজ হবে না কারো জন্য কারন আট তালা ভাবতেই কষ্ট লাগে। কিন্তু যদি আপনি একবার আট তালা উঠে যান তাহলে আর কষ্ট নেই এরপর আপনি নয় তালা , দশ তালা করে চোদ্দ তালা উঠে যেতে পারবেন। আমার মনে হয় আমরা জীবনে অনেক কিছু চাই কিন্তু তার তুলনায় যতোটা পরিশ্রম প্রয়োজন তার থেকে অনেক কম পরিশ্রম করি। আমি চাই না জীবনে কোন আফসোস থাকুক আমার তাই যতো কাজ করা দরকার করে যাচ্ছি।
একজন নারী ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে এ সেক্টরে চ্যালেঞ্জ কেমন?
জয়িতা ব্যানার্জি : ডিজিটাল মার্কেটিং সবার জন্য চ্যালেন্জিং। মেয়ে বলে আলাদা করার কিছু নেই। কিন্তু আমি দেখেছি মেয়েরা এই সেক্টরে কম আসে হয়ত ভয় পায় যে কি কাজ করব। আসলে যদি আমরা একটু বিস্তারিত ভেবে দেখি তাহলে মেয়েদের জন্য মার্কেটিং একটা সেক্টর যেখানে অনেক বেশি সাফল্য আসতে পারে। আর সেক্টরটিতে লোকবল কম তাই এখন সুযোগের অভাব নেই আর কেউ যদি এই সেক্টরকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চায় তাহলে নতুন অনেক কিছু শিখতে পারবে যা জীবনে কাজে আসবে।
পৌঁছাতে চান কোথায়?
জয়িতা ব্যানার্জি : আমি কোথাও পৌছাতে চাই না। তবে স্বপ্ন দেখি ইউরোপের কোন এক শহরে একটা ছোট্ট বাসা নিয়ে থাকব আর সেই স্বপ্ন পূরন করতে চাই এখন। বাকি সব কিছু আমি পূরন করে ফেলেছি। এবং জীবনে একজন বিনয়ী মানুষ হতে চাই।
জীবনের স্মরনীয় কোন ঘটনা, যা ভেবে আজও রোমাঞ্চিত হোন?
জয়িতা ব্যানার্জি : রোমাঞ্চিত কোন ঘটনা নেই তেমন তাও একটা খুব ভালো লাগার গল্প আছে। আমি একবার এক কম্পিটিশনে গিয়েছিলাম এবং আশা করিনি কোন কিছু। যারা খুব ভালো টিম তাদের লিডার আমার পাশে এসে বলল, যে আপনি অনেক ট্রফি পেয়েছেন জীবনে আর সবসময় জীততে হয় না। যাই হোক যদিও আমার কোন চাওয়া ছিল না ওই মূহুর্তে আমি আশা করেছি যে যে না যদি আমি জিততাম। আমি ট্রফিগুলোর দিকে তাকিয়ে ছিলাম। হঠাত শুনলাম আমাদের টিম নেইম। কি শান্তি তখন, আমি তখন সেই ছেলেটিকে বললাম, চেষ্টা করলে আর চাইলে মাঝে মাঝে আল্লাহ্ সাথে থাকেন। সেই কম্পিটিশন আমি না ঘুমিয়ে করেছিলাম এবং এতো কষ্টের পর পাওনাটা খুব মনে দাগ কেটেছে।
ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের কথা যদি বলি, কয়েক’শ কোম্পানি হয়ে গেছে কিন্তু স্পেশালিষ্ট কর্মী তৈরি হচ্ছে না, এর মূল কারণ কি?
আমি তাকে একটা সেমিনারে দেখেছি এবং আমার মনে হয়েছে আমার জীবনের একটা পথ খুলে গেল।
চট্টগ্রামের গর্ব উনি এবং তার একটা বই পড়েছি হাবলুদের ফ্রিল্যান্সিং – আমি আসলে উনার অনেক বড় ফ্যান
সেরার সেরা! প্রিমিয়ারের গর্ব
মানুষ বাঁচে তার কর্মে আর জয়িতার মতো মেয়েরা তা প্রমান করছে প্রতিনিয়ত।
শুভ কামনা জয়িতা! বড় হও অনেক
She’s so young yet so mature and humble even after so many achievements…Pride of our ctg… Inspiration of many. 😊
She is a great source of Inspiration. Stay with Talkstory 🙂