নিজের মোবাইলের উপর লেখা আই এম স্লো।বাকি পাঁচটা ছেলে মেয়ের মত সবার সাথে মিশতে না পারা,কথা বলতে না পারাই ছিল তার অন্যতম দুর্বলতা । কখনো ভাবতেই পারেননি অনলাইনে বাসায় বসে হাজারো ছেলে মেয়েকে একসাথে পড়াবেন এই স্লো মেয়েটি। মেধাবী এই মেয়েটি শিক্ষকতায় এসেছেন আরো চার বছর আগে। অনেক বাধা বিপত্তি পাড়ি দিয়ে অনেক হেয় হয়েও থেমে থাকেনি তার পথ চলা।
কথা বলছিলাম আকাঙ্ক্ষা শিকদারের। যিনি বর্তমানে একজন ইউএনডিপির ট্রান্সলেটর ,পাশাপাশি টিসল বাংলাদেশ মিরপুর ব্রাঞ্চ এর ওনার ,ইনস্ট্রাক্টরি কমিউনিটির একজন টপ রেইটেড ইন্সট্রাক্টর, S@ifurs সহ বেশ কয়েকটি ইনস্টিটিউশনের প্রশিক্ষক, NAPD র একজন প্রশিক্ষক এবং অনলাইনে যিনি পড়াচ্ছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ছাত্র-ছাত্রী।
পথচলার শুরু
সালটি ছিল ২০১৫। ইন্ট্রোভার্ট শব্দটির সাথে আমরা বর্তমানে কমবেশি পরিচিত হলেও ওই সময়টাতে ব্যাপারটিকে ধরা হতো একটি দুর্বলতা হিসেবে। আমি বরাবরই ইন্ট্রোভার্ট ছিলাম অর্থাৎ দুর্বল। তাই বাড়িতে মেহমান আসলে তাদের সাথে কথা বলা তো দূরের কথা আমি উল্টো পথ দিয়ে পালিয়ে যেতাম। ব্যাপারটি শুরুতে উপহাস,উপহাস থেকে অপমান এবং অপমান থেকে বকাঝকায় পরিণত হয়ে যেতেও সময় নিতো না।
ব্যাপারটি নিয়ে পরিবারের লোকজন খুবই অসন্তুষ্ট ছিল । তাই আমার এই দুর্বলতা দূর করার জন্য মা এবং মামা মিলে আমাকে একটি পাবলিক স্পিকিং কোর্স এ ভর্তি করিয়ে দেন। সেখানে ভর্তি হওয়ার উদ্দেশ্য ইংলিশে কথা বলতে পারা ছিল না ,ছিল শুধু কথা বলতে পারা। কারণ আমি ছোটবেলা থেকেই ইংরেজিতে খুব ভালো ছিলাম যার দরুন আমাকে বাসার মিস “Grammar Queen “ বলেও ডাকতেন। সমস্যাটি ছিল শুধু মনের ভাবনা মনে রাখা।
প্রথম দিন ক্লাসে শিক্ষক জিজ্ঞেস করেছিলেন তুমি এই ক্লাসে কেন ? স্পষ্ট মনে আছে ভাঙ্গা ভাঙ্গা ইংরেজিতে জবাব দিয়েছিলাম “Because my mother sent me here” দ্রুত শেখার জন্য আমি দুই তিনটা ক্লাস একসাথে করতাম কিন্তু সেখানেও মানুষের উপহাস থেকে পার পেয়ে উঠিনি আমি । তাদের ধারনা ছিল আমি নাকি বেশি শিখে ফেলতে চাইতাম। কিন্তু প্রতিবারের মতো এবার আমি তাদের কথায় প্রভাবিত না হয়ে নিজের মতো এগিয়ে যেতে থাকলাম।
পাবলিক স্পিকিং কোর্স শেষে একটি পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল এবং সেখানে বলা হয়েছিল সর্বোচ্চ নাম্বার ধারীদের শিক্ষক হিসেবে নেয়া হবে। আমি সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েও শিক্ষক হিসেবে জায়গা পায়নি জানতে চাইলে জবাবে এসেছিল আমি স্লো এবং আমার গলার স্বর অনেক নিচু। তাই আমার জায়গা হয়েছিল এডমিনে । মন খারাপ করিনি কারণ সব জায়গা থেকে কিছু না কিছু শেখার আছে । তবে মনে ছিল যে এর যোগ্য জবাব একদিন আমাকে দিতে হবে । তাই মোবাইল বের করে আমার ওয়ালপেপারে লিখে রেখেছিলাম “I am slow” । প্রতিদিন দেখতাম আর নতুন করে মোটিভেটেড হয়ে কাজ করতাম। আমি প্রতিদিন সকাল ১০ টায় অফিস খুলতাম এবং সারা দিন দীর্ঘ ১২ ঘন্টা কাজ করার পর রাত দশটায় টাকার হিসাব দিয়ে অফিস বন্ধ করে বাসায় যেতাম।
অনেক প্রচেষ্টার পরে একদিন ক্লাস নিয়েছিলাম আল্লাহর রহমতে কোন নেতিবাচক মন্তব্য পায়নি বরং প্রশংসায় পেয়েছিলাম । এমনকি যোগ্যতা অর্জনের পর আমি ৮০ জন শিক্ষার্থীরও একসাথে ক্লাস নিয়েছি কোনো মাইক ব্যবহার না করে। নতুন পথ চলার শুরু এখান থেকেই।
অনলাইন জগতে পা ফেলা
আমি তখন আমার মায়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার করতাম যার কারনে আমার কোন ফেইসবুক একাউন্ট ছিল না। আমি যখন ধীরে ধীরে ক্লাস নেয়া শুরু করলাম এবং শিক্ষার্থীরা আমার ক্লাস পছন্দ করতে লাগলো তার কিছুদিনের মধ্যে হঠাৎ এক স্টুডেন্ট এসে আমাকে বলল ম্যাম আপনাকে ফেইসবুকে পাওয়া যায় না কেন? যদিও সেই ইনস্টিটিউশনে শিক্ষার্থীদের সাথে অনলাইনে যুক্ত হওয়ার একটি বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা ছিল।
মূলত এরপরে আমি অনলাইন জগতে এসেছি । ফেইসবুক লাইভে ক্লাস নিয়েছি। শুরুতে খুব কম লোক রেসপন্স করত কিন্তু ধীরে ধীরে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে ৩৫ হাজার সদস্যের এক পরিবারকে আমি ফ্রিতে শিক্ষা প্রদান করছি। মূলত এভাবেই অনলাইন জগতের প্রথম পা ফেলা আমার।
ফিডব্যাকের জায়গা থেকে নিজের অনুভূতি
এখানে একজন মানুষের কথা উল্লেখ না করলেই নয় । মানুষটি হচ্ছেন আমার রাঙা বাবা (খালু) তিনি আমাকে সবসময় বলতে,”কখনো কিছু টাকার জন্য করো না ,নিজের জন্য কর,,নিজের শেখার জন্য করো । তাই আমি কখনো টাকার কথা চিন্তা করিনি । আজকে আমার কাছে অনলাইনে হাজারো মানুষ ফ্রিতে পড়ছে। কিছুদিন আগেও আমি অনলাইনে ক্লাস নিছিলাম কিভাবে ইন্টারভিউয়ে ভালো করা যায়। একজন ছাত্র সেখান থেকে শিখে পরদিন আমাকে বলল আপনার ক্লাস টি আমার ইন্টারভিউ দিতে অনেক সাহায্য করেছিল আমি আপনার অনলাইন কোর্স করতে চাই । যদি আমার চাকরিটা হয়ে যায় তাহলে হয়তোবা আর ক্লাস করার সময় পাবো না ।
পরবর্তীতে তার চাকরি হয়ে যায় এবং সে আমাকে বলে আমি চাকরী পেয়ে গেছি । আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ! কিন্তু ক্লাস করার সময় হবে না আর । দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এমনকি দেশের বাইরে থেকেও অনেক শিক্ষার্থী অনলাইনে আমার কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করছে এবং তাদের ফিডব্যাক পাওয়ার পর আমার অনুভূতি ভাষায় বোঝানো কষ্টকর। প্রাপ্তিটাই অন্যরকম। ভেবে খুবই অবাক হই যে এক সময় শিক্ষার্থীদের সাথে অনলাইনে যুক্ত হওয়ার অনুমতি ছিল না আর আজ অনলাইনে ৩৫ হাজার সদস্যের পরিবারকে আমি শিক্ষাদান করতে সক্ষম হচ্ছি।
সব চেয়ে মজার ব্যাপার হলো আমি শুরু করেছিলাম এডমিনের জবে এবং আমার প্রথম আয় ছিল মাত্র ৬ হাজার টাকা। কিন্তু টাকাটা কে আমি কখনোই বড় করে দেখি নি প্রাপ্তির কথা যদি বলতেই যাই তাহলে এই পাঁচ বছরে কত টাকা আয় করেছি সেটা বলবো না শুধু বলতে চাই আজও আমার বাসায় খুলনার সুন্দরবন থেকে খাঁটি মধু এসেছে এবং এমন স্টুডেন্টের কাছ থেকে এসেছে যার সাথে না আমার কোনদিন দেখা হয়েছে না কোনোদিন ফোনে কথা হয়েছে।
অনলাইন জগতটাই কি New Normal হয়ে দাঁড়াবে একসময়?
এখন সবাই বাসায় বসে অনলাইন ক্লাস করছে, স্কিল ডেভেলপমেন্ট করছে। আমার মনে হয় আমরা এই মহামারি থেকে বার হয়ে গেলেও আমাদের সবার মনে রাখা দরকার শিক্ষা যেকোন জায়গা থেকে হতে পারে। শিক্ষার জন্য কারো ১ লাখ ফলোয়ার লাগে না, শেখার জন্য মন আর ইচ্ছা থাকলেই হয়। এই মহামারির আগেই আমার অনলাইন ছাত্র-ছাত্রিরা যেইভাবে এগেইজড ছিল এখনো আছে। এই স্লো মেয়েটি এখনো পুরো দমে পড়িয়ে যাচ্ছে অনলাইনে। আমার মনে হয় এইটি একদিন নতুন নরমাল হয়ে যাবে। এবং এখন হয়ত অনেকে বাধ্য হয়ে অনলাইনে ক্লাস করছে কিন্তু একসময় সবাই শিক্ষাকে প্লাটফর্ম থেকে তুলে নিজেকে স্বশিক্ষিত করবে।
ই-লার্নিং মার্কেট আসলে কত বড় এদেশে? এর রিচ করার সম্ভাবনা কেমন?
আমরা ভাবি অনলাইনে আমরা আদতে কিছু শিখতে পারবো কিনা কারন আমরা সহজেই পথভষ্ট্র হয়ে যাই। কিন্তু আমার মতে অনলাইনে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি চাইলে। বাসায় শুয়ে , বসে নিজের সাচ্ছ্যন্দের জায়গা থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। আস্তে আস্তে আরো অনেক শিক্ষক এখন অনলাইনে পড়ায়। অনেক কিছুই সবাই অনলাইনে শিখতে পারে। আমার মনে হয় এমন একটি দিন আসবে আমরা বাসায় বসেই বড় বড় স্কিল শিখে ফেলবো এবং দেশের সকল শিক্ষক অনলাইনে এসে হাজারো মানুষকে পড়াবে। অনলাইন জগত তখন নতুনের আলো পাবে।
তরুণদের নিয়ে ভাবনা কি, একজন ইন্সট্রাকটরের জায়গা থেকে?
আমার এই জগতে আসার পিছনে আমার প্রথম শিক্ষকের অবদান অনেক বেশি ছিল। তার পড়ানো অনেক প্রাক্টিক্যাল ছিল এবং আমার বেসিক অনেক ভালো ছিল। আমি নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে পড়ছি। এইখানে শিক্ষক হতে হলেও অনেক বড় বড় এচিভম্যান্ট লাগে। কিন্তু তারপরেও কেন অনেক ছাত্র-ছাত্রি একটা কোর্স ২-৩ টা ক্লাসের পরে ড্রপ করে দেয়। কারন ভালো ছাত্র হওয়া এবং ভালো শিক্ষক হওয়া এক ব্যাপার না। তাই আমি তরুনদের বলবো শুধু ডিগ্রির পিছনে আমরা না ছুটি, আমরা স্কিলের পিছনে ছুটি। আমি এখনো অনার্সে পড়ছি এবং যখন শুরু করেছি তখন আমি মাধ্যমিকে পড়ছিলাম। আমাকে আমার শিক্ষক যখন বলেছিল আমি স্লো এবং আমি অনেক বাধার পড়েও কিন্তু নিজে থেমে থাকি নি। একবারো বসে ভাবি নি আমি কি করবো এখন?
আমার মনে হয় তরুনদের সেলফ মটিভেইটেড থাকা দরকার। কেউ কিছু বলল, বাজে মন্তব্য করলো, কেউ বলল কিছু শিখতে পারবো না, চেষ্টা করে থাকে ভুল প্রমান করে দেয়া উচিত তাদের। একজন শিক্ষকের দিক থেকে আমার এইটাই মনে হয় – যখন মনে হবে পারবো না, তখন একবার মনে করার চেষ্টা করা উচিত কেন শুরু করেছিলে এইটা? কেন? দেখবেন পথ পেয়ে যাবেন।
ইন্সট্রাক্টরী নিয়ে কিছু বলেন?
অনলাইনে কোর্স দেয়া এবং অনলাইনে পড়ানো আমার কাছে যতোটা নতুন ছিল তখন আমার কাছে এইভাবে গুছিয়ে কোর্স দেয়ার মতো কোন প্লাটফর্ম ছিলো না। এবং পরে আমি ইন্সট্রাকটরিতে যুক্ত হই এবং এই যুক্ত হবার পরে আমার স্পোকেন এর উপরে একটা কোর্স দি যেটি ইন্সট্রাকটরির অনেক জনপ্রিয় একটি কোর্স। এবং এই কোর্সে অনেক ছাত্র ছাত্রি স্পোকেন শিখছে। আমি ভাবি আমাদের দেশে এই ধরনের প্লাটফর্ম অনেক বেশি জরুরী। কারন আমার কাছে মনে হয় বাংলাদেশে কোচিং এ কোর্স ফি অনেক বেশি হয়। আমি মেডিকেল এ ভর্তির জন্য কোর্স করেছিলাম ১৮০০০ টাকা দিয়ে কিন্তু করা হয় নি আমার। আবার অনেক কোর্স থাকে অনেক বেশি দামি যা ছাত্র-ছাত্রিরা কিনতে পারে না। আমি সব সময় তাদের আমার যেকোন কিছুতে শেখার জন্য কোর্স কম করে দি। ইন্সট্রাকটরির মাধ্যমে অনেক মানুষ বড় বড় প্রফেশনাল কোর্স কিনে ফেলছে ১৬০০ টাকা , ৬০০ টাকা দিয়ে। আমার আরেকটি কোর্স আসছে ৩৪৫ টাকায় মাত্র। সবার জন্য শেখাটা এখন অনেক বেশি সহজ হয়ে গেছে।
আকাঙ্খার আল্টিমেট আকাঙ্খা কী?
আমার আল্টিমেট আকাঙ্খা যেটা আমি প্রত্যেক ক্লাসের শেষে বলি – “ ভালো থাকবেন এবং ভালো রাখবেন। আমি চাই আমাকে যারা ভালোবাসে তাদের ভালোবাসার প্রতিদানটি আমি যাতে দিতে পারি । আমার ছাত্রদের জন্য আকাঙ্খা হলো – যে যেই পর্যায়ে থাকুক না কেন, শিখুক। গরিব এবং যারা শিখতে পারে না তাদের জন্য আলাদা সুযোগ করে দেই আমি। আমি তাদেরকে বলি আপনার মোবাইলটা বার করে একটা মেসেজ পাঠান আমাকে। দেখা যায় অনেক ছাত্র – ছাত্রী দামি ফোন চালায় কিন্তু শিক্ষার জন্য তেমন টাকা দিতে রাজি না। আবার অনেকেই আছে যারা অনেক গরিব শিখতে চায় শিখতে পারে না। এইভাবে আমি তাদের শেখার সুযোগ করে দি এবং ভবিষ্যতেও করে দিতে চাই। আমি কয়েকটা ফাউন্ডেশনের সাথেও যুক্ত আছি যেমন স্মাইল মোর ,সপ্নের দোকান, শখের বাজার। আমি তাদের জন্য কাজ করে যেতে চাই।
৩৫০০০ হাজারকে বছর শেষে কততে দেখতে চান?
আমি আসলে নাম্বারে বিশ্বাস করি না আমি বিশ্বাস করি কতোজন আসলেই শিখতে পারলো। কতোজন আসলেই আমার ক্লাস থেকে পড়ে একলাইন ইংরেজি বলতে পারলো। আমার এই পরিবারটা অনেক আস্তে আস্তে গ্রো করেছে। এই ৩৫,০০০ মানুষ আমার কাছ থেকে আসলেই শিখতে চায়। এই ৩৫,০০০ মানুষ হয়ত আরো ৩৫,০০০ মানুষকে বলবে আমি আকাঙ্খা এর কাছ থেকে শিখেছি। আমি চাই এইভাবে শিখার মাধ্যমে আরো অনেক মানুষ আমার অনলাইন পরিবারে যুক্ত হয়ে যাক।
প্রাপ্তি ও আফসোস এর জায়গাটা নিয়ে একটু বলুন
প্রাপ্তি এখন অনেক কিন্তু আফসোস বলতে তেমন কিছু নেই। আমি আফসোস করি না। কেউ যদি আমাকে বলে আপনি কি আপনার জীবনেই এই ব্যাপারটি পরিবর্তন করবেন? আমি বলবো না, কারন যদি সেই ঘটনা না ঘটে থাকতো তাহলে আমি আজকে এতো দূরে আসতে পারতাম না। আমি অনেক ছোট তাই অনেক কিছু আমাকে একা করতে হয়েছে। আমার জীবনে প্রথম আমি অনেক বড় প্রজেক্টে সিলেট গিয়েছি একা একা। নিজের যোগ্যতায়।
বাবা – মার এক মাত্র মেয়ে হওয়াতে আমি অনেক আদরের। আমি হয়ত ডাক্তার হতে পারি নি কিনবা ইঞ্জিনিয়ার কিন্তু আজকে যতো দূর এসেছি এইটাই আমার প্রাপ্তি। অনেকেই হয়ত আমাকে ছোট করেছে, কষ্ট দিয়েছে কিন্তু কেউ যদি আমাকে একটু উপকার করে থাকে তার উপকার আমি সারাজীবন মনে রেখেছি। আমি সবার প্রতি আমার ভালোবাসা রাখছি । তাদের ছাড়া আমি আজকেই এই আকাঙ্খা হতে পারতাম না।
আকাঙ্খা এর মতো মেয়েরা এতো অল্প বয়সে সমাজের বড় বড় হাল ধরেছে। তারা এগিয়ে যাচ্ছে , অনলাইনে পড়াচ্ছে। তাদের মাধ্যমে দেশের যেকোন প্রান্তে বসে হাজারো মানুষ শিক্ষার আলো পাচ্ছে। ইন্টারনেট জগত একটি নতুন আলো পাচ্ছে। নানা উপহাস ফেলে নিজের ধৈয্যের পরিক্ষা দিয়েছে। আমি স্লো থেকে হয়ে গেছে হাজারো মানুষের পথের গতি নির্দেশক।
আমরা আকাঙ্খাকে জানাই অনেক শুভেচ্ছা। আকাঙ্খার মতো মেয়েদের হাতেই আসুক ই-লার্নিং এর নতুন সকাল ।
অনুলিখন: জয়িতা ব্যানার্জী