Imagine. Immense. এই দুইয়ে Bullseye এর Inception হয়েছিলো। বুল’স আই। নামেই কেমন মাদকতা রয়েছে একটা। একটা ব্যাপার আমরা প্রায়ই শুনি ; ৩৬০° সার্ভিসেস। কোন মার্কেটিং এজেন্সি, এড ফার্ম প্রভৃতির ক্ষেত্রে এমনটা শোনা যায়। আদতে এমন ৩৬০° সার্ভিসেস খুব কম প্রতিষ্ঠানই দিতে পারেন। নামের মত ঠিক কাজের বেলায়ও এই জায়গাটাতে Bullseye আলাদা।
প্রকৃত অর্থেই একটা ৩৬০° এজেন্সি Bullseye. মার্কেটিং জগতের ATL / BTL ক্যাম্পেইন, বিজ্ঞাপন জগতের TVC মেকিং, অথবা কমিউনিকেশন জগতের অডিও ভিজ্যুয়াল বা আপনার প্রতিষ্ঠানের ডিজাইন সল্যুশন অথবা হালের হটকেক ডিজিটাল মার্কেটিং! Bullseye যেন সর্বেসর্বা এক এজেন্সি।
আসলে,প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে কমিউনিকেশন, ব্র্যান্ড সলিউশন, মার্কেটিং পলিসি, ইনোভেশন, এনগেজমেন্ট বা ভিডিও কনটেন্ট – টিভিসি – এসবকে আলাদা করার সুযোগ খুবই কম! সব জিনিস আসলে দিনশেষে একটা স্রোতেই মিলিত হয় -Reaching it out to the target people. এই জায়গাটাই আসলে Bullseye এর কর্মক্ষেত্র।
মইনউদ্দীন পাঠান ; বুলস আইয়ের স্বপ্নদ্রষ্টা যিনি, তাঁর ভাষায় বলতে গেলে -ডিজিটাল এজেন্সি, মার্কেটিং এজেন্সি এসব আসলে একটা লক্ষ্য নিয়েই – Let your audience know. আর দর্শক বা টার্গেট পিপলকে কোনো ব্র্যান্ড বা সার্ভিস সম্পর্কে জানাতে পূর্ণাঙ্গ এজেন্সির দ্বারস্থ হবার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না কখনোই!
ওয়ান স্টপ সলিউশনের যথার্থ উদাহরণ Bullseye। শুরু খুব বেশী দিনের নয় আসলে! কিন্তু ক্লায়েন্ট লিস্ট চমকে দেয়ার মতোই ; বসুন্ধরা, নাভানা, বিপিসিএল, রংপুর রাইডার্স, জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি, লাল তীর সীড, ব্র্যাক, নাইস ডেনিম, মেটাল এগ্রোসহ বেশ কিছু হাই-প্রোফাইল ক্লায়েন্টকে নিয়মিত সার্ভিস দিচ্ছে বুলস্ আই।
নিজেদের আত্মবিশ্বাসের পরিধি নিজেদের কাজের ধরণেই বুঝিয়ে দিতে চান। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বাইরের দেশের ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্টের কাজও চলছে। তার সাথে চলছে নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তাদেরকে অপেক্ষাকৃত স্বল্পমূল্যে মার্কেটিং কমিউনিকেশনের সুযোগ দেয়া, যা সত্যিই একটি দারুণ উদ্যোগ। ডিজিটাল মার্কেটিং যেমন আছে, বাদ যায়নি অডিও-ভিজ্যুয়াল প্রোডাকশনও! কথা সিম্পল, সবার জন্যই কিছু না কিছু আর কারো কারো জন্য সবকিছুর নিশ্চয়তার অপর নাম বুলস্ আই।
প্রত্যাশা একটাই ; নতুন/পুরাতন যেকোনো ক্লায়েন্ট যেন এটুকু বিশ্বাস রাখে যে, আমরা তার চাহিদা বুঝি ও তার ব্র্যান্ডের জন্য স্বকীয় আইডিয়াটিই খোঁজা ও ডেলিভার করার চেষ্টা করি সবসময় । কাজের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মইন বললেন ; খুব কম প্রফেশনই আছে এমন যেখানে আজ যা ট্রেন্ড, কাল তা সেকেলে। সেই জায়গায় কাজ করতে গেলে আপনাকে ট্রেন্ডের আগে দৌঁড়াতে হবে! এই কাজটাই চরম দক্ষতায় করছে Bullseye এজেন্সি।
Bullseyeআর ৩৬০° সলিউশন অনেকেই মুখে বলেই খালাস ; তবে Bullseye শুধু বলার জন্য এসব করতে আগ্রহী নয়। তারা সেটাই বলে যেটা তারা করতে পারবে বলে বিশ্বাস করে। ক্লায়েন্টের আস্থাটাই তার প্রমাণ হিসেবে কাজ করছে Bullseye এর জন্য। কমিউনিকেশন এজেন্সির হ্যাপা অনেক। তবে প্রাপ্তির সামনে তা দাঁড়াতেই পারেনা। কারণ, কোনো কোম্পানির ভিশনকে ভিজুয়্যালি তুলে ধরা বা একটি ব্র্যান্ডকে অডিয়েন্সের সামনে লোভনীয় বা ভিন্নমাত্রায় উপস্থাপন করা; এরচেয়ে ক্রিয়েটিভ কাজ আর কী হতে পারে! সেই সৃজনশীলতার সূত্রে ক্লায়েন্ট তার পরিচিতি তুলে ধরছে, ক্লায়েন্টের একটা সত্তা দাঁড়াচ্ছে – এই যে কাজগুলো এগুলোর প্রাপ্তি বলে বুঝানো সম্ভব না বলে জানালেন মইনউদ্দীন পাঠান।
আর আজকের দুনিয়ায় কমিউনিকেশনের গুরুত্ব যে যত তাড়াতাড়ি বুঝে, তার যাত্রা ততটাই সাবলীল হয়। কমিউনিকেশনে গ্যাপ বা ফাঁকি ; মানে আপনার ভেঞ্চারেই ফাঁকি। আজকের বিশ্ব More effective communication, more organic reach এটার উপরেই চলছে বলে মনে করেন Bullseye এর এই অগ্রদূত। নিজেদের সেরা বা শীর্ষ এমন কোন জায়গায় দেখতে চাননা, বা ভাবনাতেও নেই এসব। ভাবনা কেবল একটাই -কর্পোরেট হাউজগুলো যেন কমিউনিকেশন্সকে আরো গুরুত্বের সাথে নেয় ও এজেন্সিকে দেয় আরো স্বাধীনতা দৃষ্টান্তমূলক কাজের জন্য।
আপাতত, কমিউনিকেশন লিটারেসী যদি তৈরী করা যায়, সেটাই হবে সবচেয়ে বড় সাফল্য। Bullseye এর সদা উজ্জীবিত স্ট্র্যাটেজী, ক্রিয়েটিভ, ডিজিটাল, প্রোডাকশন আর ক্লায়েন্ট সার্ভিস টীম প্রস্তুত যে কোনো বাজারের যেকোনো পণ্য/সেবার জন্য কার্যকরী কমিউনিকেশন তৈরী করতে।