কন্টেন্ট ভাইরাল হওয়ার পেছনে কোন গোপন সুত্র কী আপনি জানেন? আপনি কি আগে চেষ্টা করেছেন? লাইটস্পিডের ভিপি জিম্মারম্যান বলেন, “আমি কখনই স্ব প্রচার করি না”। তারপরও তিনি গত ৩ বছরে প্রচুর ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করেছে।আসলে তিনি কি করেছিলেন?
ভাইরাল হওয়ার কিছু মন্ত্র আছে। নিজের কিংবা পণ্যের উপস্থাপনে এই মন্ত্রগুলো ব্যবহার করা যায়, যা দিয়ে জাদু করে আপনার সাইট প্রতিদিন কমপক্ষে 2,500 পর্যন্ত দর্শকের কাছে পৌঁছে যাবে । আর সার্চ ইঞ্জিনে স্থান হবে প্রথম সারির। আমরা কিন্তু ভাইরাল হওয়া ব্লগ বা কন্টেন্ট নিয়ে প্রায়শই ভাবি যে, “ এইটা কি ভাবে মাথা থেকে বের হল? “ ‘“বাবারে বাবা এত বুদ্ধি কই রাখে?”
ভালো প্রশ্ন। তবে এই ধরনের কন্টেন্ট গুলো লিখতে কিন্তু এক্সপার্ট হতে হবে না। একবার ভাইরাল হওয়ার ট্রিগার চালু করে নেওয়ার সাথে সাথেই পাওয়া যায় বিশাল সংখ্যক অডিয়ান্স। আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্লগার হন কিংবা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হন এখনই সময়, তৈরি হয়ে যান সময় উপযোগী কন্টেন্ট নিয়ে।
জিম্মারম্যান একবার একটি কন্টেন্ট লিখেছিল যা ৭ মাসে ১১ মিলিয়ন ভিউ পায়। ভাইরাল কিন্তু কোন অলৌকিক কিছু নয় যে রাতারাতি হয়ে যাবে। তবে আপনার কন্টেন্ট যদি দুর্দান্ত হয় ধারাবাহিকতার সাথে ফলাফল দেখতে পাবেন।
“ভাইরাল” শব্দের অর্থ আপনি দুর্দান্ত কিছু লিখবেন যা সামাজিক নেটওয়ার্কগুলিতে ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে যাবে। ভাইরাল কন্টেন্টের জন্য ভালো একটি বিষয় বস্তু ঠিক করে নিতে হবে এবং এর ভেতরের খুঁটিনাটি সকল বিষয় উপস্থাপন করতে হবে। লেখার গুনগত মানই ঠিক করে দিবে যে লিখাটি অ্ডিয়ান্স নিজে পড়বে ও শেয়ার করবে।
অনেক মার্কেটারেরা নিজেদের কন্টেন্ট ভাইরাল হওয়ার স্বপ্ন দেখে।তারা হাজার হাজার নাহলেও শত শত মানুষ সময় দিচ্ছে বা দিতে পছন্দ করে এমন সব বিষয় খুঁজে বের করে। বিশেষ করে আপনি যখন সবে এই পথে নতুন হাঁটা শুরু করেন, খুব ভালো মানের ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করা বেশ কঠিন কাজ। যেমন আমি যদি ফটোগ্রাফি নিয়ে কাজ করতে চাই সেক্ষেত্রে আমাকে কিন্তু একটি ভালো ক্যামেরা ও ভালো ছবি তোলার ন্যূনতম জ্ঞান থাকতে হবে। তা না হলে কীভাবে আমি আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করতে পারব।
আবার অনেক সময় দেখা যায় খুব কম পরিশ্রমেও ভাইরাল হওয়া যায়। তবে গেলেও তা বেশি দিন টিকে থাকে না। সুতরাং, কীভাবে এমন কন্টেন্ট তৈরি করতে হয় তা নিয়ে একটু হলেও এনাটমিটি করতে হবে, যা ভাইরাল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনেকগুলি কন্টেন্টের বিষয় বস্তু সমাজে একসাথে কাজ করে, তবে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হ’ল অনেকগুলি কন্টেন্ট থেকে মূল্যবান কন্টেন্টটির খুঁজে বের করা।
ভাইরাল কন্টেন্টের এনাটমিটির ক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে যে , কন্টেন্টটি অবশ্যই এমন হবে যেন পাঠকের শেয়ার করতে ইচ্ছা করে বা পাঠক মনে করে যে এই লেখাটিই তিনি খুঁজছিলেন। এটি হতে হবে এমন কিছু যা একটি নির্দিষ্ট সমস্যা সমাধান করতে পারে, পাঠকের জীবন পরিবর্তন প্রভাবিত হয় বা আরও ভাল কিছু করতে পারে। যদি এটি পাঠকের মনে শিহরণ সৃষ্টি করতে না পারে তবে কেউ তাদের সামাজিক নেটওয়ার্কে শেয়ার করবে না।
বিষয়বস্তু ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পেছনে একটি বিজ্ঞান কাজ করে।“এমন কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে যা নেতিবাচক অনুভূতির চেয়ে ইতিবাচক অনুভূতিগুলিকে উৎসাহিত করে।“ এছাড়াও লেখায় পাঠকের আগ্রহের কারণগুলি উপস্থিত থাকলে,তা পাঠকের মনের ভেতরের উত্তেজনাপূর্ণ আবেগগুলিকে উস্কে দেয়। এমন কন্টেন্টই ভাইরাল হয়ে যায়। তাই কনটেন্টের বিষয়বস্তুকে দরকারী, ব্যবহারিক, আকর্ষণীয় করুন এবং যদি পারেন তবে মজাদার একটি ডোজ যুক্ত করুন – কারণ হাসি আত্মার ঔষধ।
ভাইরাল হওয়ার পুরষ্কারগুলি আমরা সবাই জানি। তবে সফল হওয়ার আগে বেশ কয়েকবার ব্যর্থ হলেও হতে পারেন। তাই বলে থেমে থাকা যাবে না। একটু মাথা খাটালেই প্রতি মাসে 2,500 বা 20,000 দর্শকদের গাড়ি চালানো কোনও অসম্ভব স্বপ্ন নয়।
লিখেছেন: উম্মে জালাল চৈতি