ক্লাউড কিচেন কনসেপ্টটা এদেশের রেস্তোরাঁ সিনারিওতে তুলনামূলক নতুনই বলা যায়। রেস্তোরাঁ ব্যবসা বুমিং একটা সেক্টর হলেও ক্লাউড কিচেন ঐ হিসেবে একপ্রকার নবিশ।
বাংলাদেশে শুরুর দিকে ক্লাউড কিচেন কনসেপ্টের যে রেস্টুরেন্ট গুলো রয়েছে, তার মধ্যে “লাভ গরু” একটি। এই রেস্টুরেন্টের খাবার খেতে আপনাকে কোথাও যেতে হবে না, রেস্টুরেন্টের খাবার চলে আসবে আপনার বাসায়। আপনাকে জাস্ট আগের রাতে অর্ডার কনফার্ম করতে হবে, আর পেমেন্ট করে নাম ঠিকানা জানিয়ে দিতে হবে। পরদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টার মাঝেই লাভ গরু আপনার বাসায় হাজির।
চুইঝালের কথা আমরা কমবেশি শুনেছি সবাই! রান্নায় বাড়তি টেস্ট যোগ করাতে, রান্নাকে একটা ‘ফেস্টে ‘ রূপ দিতে চুইঝালের জুড়ি মেলা ভার।
লাভগরুতে শুধুমাত্র গরুর মাংস চুইঝাল দিয়ে রান্না করা হয়।তবে, গ্রাহক অনুরোধে মাটনও পাঠানো সম্ভব। সবই নির্ভর করছে সঠিক সময়ে, সঠিকভাবে অর্ডার করার উপর।
রান্নার উপাদান চুঁইঝাল আসে বাগেরহাট থেকে, আর গরুর মাংস কেনা হয় ঢাকার মার্কেট থেকে, এরপর বাসায় গৃহ পরিচারিকা সকল প্রকার মশলা তৈরি করেন, ধোঁয়া মোছা কাটাকাটির কাজ করেন। বাজার থেকেই বড় বড় টুকরায় মাংস আনা হয়, ১২ টুকরোয় ১ কেজি হিসাবে। সে হিসাবে একেক টুকরার ওজন পড়ে গড়ে ৮০ গ্রামের মত। এরপর শুরু হয় রান্না যজ্ঞ। পড়ে নিশ্চয়ই বুঝতেই পারছেন কতটা পেশাদার ও আন্তরিক টীম ‘ লাভ গরু ‘। প্রতিটা বিষয় দেখভালের জন্য রয়েছে আলাদা লোক।
এই মুহূর্তে অনেকেই হয়তো বাইরে যেতে পারছেন না। তাদের জন্যে আঞ্চলিকতার ছোঁয়া আর ঘরোয়া আমেজ দুই এনে দিবে লাভ গরু। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে লাভ গরুর কিচেনে রান্না হয়। আপনি ঘরে থাকলেন এবং লাভ গরুর টেস্টও পেলেন! রেস্তোরাঁয় সবাই মিলে হয়তো খাওয়া এখনই সম্ভব নয় ; তারচেয়ে বরং বাসাটাকেই রেস্তোরাঁ বানাতে পারেন লাভ গরুর চুঁইঝাল মাংস দিয়ে! ঘরোয়া ফিল, একসাথে চিল – এটাই হবে প্রতিপাদ্য।
শুরুতে প্রতি বুধবার রান্নার কমিটমেন্ট দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে পরিসর বাড়ায় ধীরে ধীরে নিজেদের কিচেন সেট আপ চেঞ্জ করে নিয়েছে লাভ গরু। সেই সাথে নতুন করে ইনভেন্টরি রাখা হচ্ছে, মার্কেটিং এর জন্যেও নেয়া হচ্ছে নানান ইনিশিয়েটিভ। সার্ভিস তো মুলত গ্রাহকদের জন্যই ; তাই Only Wednesday থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে লাভ গরু! বাড়ানোর চেষ্টা করছে পরিধিও।
লাভ গরু টিমের মতে, তাদের বিশেষত্ব হচ্ছে এর অতি সাধারন উপস্থাপনা এবং ঘরোয়া রান্না। কোনো প্রকারের অতিরঞ্জিত ছবি তুলে আকর্ষণ করার কোন অঙ্গীকার তাদের নেই। ঘরে রান্না খাবার, নিজেরা যা খাওয়া হয়, তাই বিক্রি করা হয়। নিজেদের স্টাইলে রান্না হয়, কাজেই অন্য কোথাও কারও রান্না অনুকরন বা অনুসরনেরও সুযোগ নেই। তাঁরা নিজেরাই বাজার করে, নিজেরাই প্রক্রিয়াজাত করে রান্না করে এবং ডেলিভারিও নিজেরা করে। কর্মীরাও প্রত্যেকে নিজেদের কাজ মনে করেই এতসব কর্মযজ্ঞে অংশ নেন। সিম্পল একটা রুল মানেন তাঁরা, খাবারের টেস্টই হলো সবচেয়ে বড় Word of Mouth! দিনশেষে, জিভে লেগে থাকে স্বাদটাই। তাই, মনোযোগ সব ঐ জায়গাতেই।
এই সময়টাতে অন্য অনেক বিষয়ের সাথে স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টাও সামনে চলে এসেছে! মানে ও স্বাদে যেমন আপোষ করেন না ; এই দিকটাতেও তাঁরা সদা সচেষ্ট। ভালো মান, সেরা সার্ভিস, উপযুক্ত স্বাস্থ্যবিধি ; এগিয়ে চলে লাভ গরু নিরবধি।
প্রতি কেজি রান্না করা গরুর গোস্ত ১,২৫০ টাকা, তবে গ্রাহকদের অনুরোধে খাসির গোস্তও করে দেয়া হয় বলে তাঁরা জানান। শুধু চু্ঁইঝাল মাংসই তাঁরা সার্ভ করেন না, নিজেদের আন্তরিকতা ও সেরা সেবাটুকুও সার্ভ করে লাভ গরু!
লাভ গরুর ফেসবুক পেজ ‘Love Goru – লাভ গরু’ তে নক করে অর্ডার দিতে পারেন অথবা সরাসরি 01975409545 নম্বরে কল করতে পারেন।