আপনাকে থামানো সাধ্য কার?

কথায়ই আছে, “Whatever you do,good or bad,people will always have something negative to say!! তাহলে কি আপনার কাজ ওখানেই শেষ ? আপনি হতাশায় একদম দুমড়ে মুচড়ে যাবেন?তাহলে জেনে রাখুন আপনি তখনই হেরে গেলেন আপনার সমালোচকদের কাছে,আপনার নিজের কাছে! কেনেথ টাইন্যান এর মতে “সমালোচক হচ্ছে তারা,যারা পথ চেনেন, কিন্তু গাড়ি চালাতে পারেন না।” নিজের কাজ নিয়ে কটূক্তি শুনতে হয়নি এমন মানুষের সংখ্যা তুলনামূলক কমই আছে।আমরা প্রায়ই শুনে বা বলে থাকি “মানুষের কথায় কান দিবেন না” কিন্তু আসলেও কি মানুষের কথায় কান না দিয়ে থাকা যায়?
বেশ কঠিন বিষয়টা তবে আমি বলবো আপনি মানুষের কথায় অবশ্যই কান দিবেন। কিন্তু সেইটাকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের কাজটি থামিয়ে দিবেন না অথবা হতাশায় পড়বেন না ভুলেও।মানুষের কটূক্তিকে বানান নিজের মনের জোর। মানুষের কথা কানে নিয়ে বা মনে রেখেই আপনার কাজটি চালিয়ে যেতে হবে এবং সঠিক সময়ে তার যোগ্য জবাব দিতে হবে। বর্তমান সমাজে কাজে দক্ষ মানুষের সংখ্যা কম পাওয়া গেলেও সমালোচনায় পারদর্শী মানুষের সংখ্যা কিন্তু নেহাত কম নয়।তারা আর কিছু পারুক না পারুক সমালোচনাটা জমিয়ে করতে পারে।আর সমালোচনা করেই তারা যেন পায় একধরনের পৈশাচিক আনন্দ। আপনি কিন্তু এটাকে হতাশা হিসাবে না নিয়ে নিতে পারেন একধরনের চ্যালেঞ্জ হিসাবে।
আসলে সমালোচকদের মত শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে দিনশেষে আপনি আপনার সফলতার তৃপ্তি পাবেন না তো। আরে আপনি তো পাচ্ছেন অবৈতনিক সাহায্যকারী।লাভ টা তো হচ্ছে আপনারই। আপনি এটাকে আপনার লক্ষ্য পূরণের ইতিবাচক দিক হিসাবেই নিতে পারেন। প্রতিযোগিতামূলক এই পৃথিবীতে কারো কথায় হার মেনে নেয়া মানেই কিন্তু নিজের হারটি নিশ্চিত করা। আমাদের অনেকের মধ্যেই কিন্তু অনেক জেদ থাকে কিন্তু সেইটা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঘরের মানুষের মধ্যে কিংবা কয়েকটা কাছের মানুষের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থেকে যায়।আর আমরা ভুল টা করি ওখানেই। আমাদের যেখানে যেইটা খাটানো উচিত আমরা ঠিক তার বিপরীতে সেইটা খাটিয়ে ফেলি।নিজের জেদ টা একবার এই সমালোচকদের বিরুদ্ধে নিজের লক্ষ্যে পূরণে এনেই দেখুন না।
সমালোচকরাও যেন একসময় সমালোচনা করতে দ্বিধাবোধ করে। মাঝেমধ্যেই আমরা সমালোচকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরকে কিছু কথা শুনিয়ে দিই।কিন্তু সেইটা হয়ে যায় একটা মস্ত বড় ভুল।সমালোচক রা সমালোচনা করেই আপনাকে রাগিয়ে দেবার জন্য আর আপনি যখন সেই রাগটা প্রকাশ করেন তখনই তারা মনে মনে তৃপ্তির হাসি হাসে তাদের সমালোচনার আসল উদ্দ্যেশ্য হাসিল করতে পেরে। তাই আপনার উচিত হবে না তাদের মনোবাসনা পূরণ করা।আপনাকে তখন চলে যেতে হবে ” ডোন্ট কেয়ার ” মুডে। অথবা তারা তাদের মত সমালোচনা করে যাচ্ছে আর আপনার মানসিকতা তখন হবে “হু কেয়ার’স?” আর এভাবেই হারিয়ে দিন সমালোচকদের। আর নিজের প্রতি রাখুন আত্মবিশ্বাস। “Work hard in silence, let your success speak for itself!” আপনাকে থামানো কার সাধ্য?

লিখেছেন : ইল্লিন ফ্লোরা

Leave a Comment

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।